কথাসাহিত্যিক সমরেশ মজুমদার আজও দুই বাংলায় সমান জনপ্রিয়। তিনি জন্মেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের ডুয়ার্সের গয়েরকাটায়, ১৯৪৪ সালের ১০ মার্চ। তাঁর শৈশব কেটেছে সেখানকার চা-বাগানে। ভবানী মাস্টারের পাঠশালায় তাঁর প্রাথমিক শিক্ষাজীবন শুরু হয়। এরপর জলপাইগুড়ি জেলা স্কুলে পড়াশোনা করেছেন। তারপর তিনি কলকাতায় চলে যান ১৯৬০ সা
উত্তরাধিকার, এখনও সময় আছে, দেশ—তিনটি লেখা আমার সবচেয়ে প্রিয়। ২০০৪ সালের কোনো এক দুপুরবেলা কলকাতার টালিগঞ্জে বসে এ কথা বলেছিলেন দুই বাংলায় জনপ্রিয় লেখক সমরেশ মজুমদার। প্রায় চার হাজার শব্দের সাক্ষাৎকারে অকপটে অনেক কথাই তিনি বলেছেন। সাপ্তাহিক মৃদুভাষণের পক্ষে সেই সময় সাক্ষাৎকারটি নিয়েছিলেন তাপস কুমার দ
তখন বয়স সতেরো কি আঠারো। কয়েক বছরের মধ্যে বড় ক্যানভাসের দুই ডজনের বেশি উপন্যাস পড়ে ফেলে নিজেকে বেশ তালেবর পাঠক বলে মনে করছি। একদিন বন্ধুদের সঙ্গে চায়ের আড্ডায় সমরেশকে নিয়ে কাটাছেঁড়া হচ্ছে। একজন আঁতেল বন্ধু বলল, ‘কোন সমরেশ?’ আরেকজন বলল, ‘সমরেশ আবার কজন?
সত্তরের দশক মুক্তির দশক বলে আন্দোলনের মন্ত্র গেঁথেছিল নকশালেরা। বিশ্ব রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটও তখন উত্তাল। পশ্চিমবঙ্গের সাহিত্যাঙ্গনে তখন তিন বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজত্ব শেষ। উঠে আসছেন তরুণ লেখকেরা।
তখন মাঝ কৈশোর। প্রায় সেই সময়ে দেশ পত্রিকায় ধারাবাহিক উপন্যাস প্রকাশ হতে শুরু করল। গর্ভধারিণী। শুরু থেকে একটা চুম্বকীয় আকর্ষণ বোধ হল। দেশ তখন সাপ্তাহিক। প্রতীক্ষার প্রহর গুনতে হতো। গল্প এগোয়। জয়িতা আর তার সাঙ্গপাঙ্গরাও এগোও। তাদের পথ ধরে আমরাও এগোতে থাকি।
তারপর একদিন সকলি ফুরায়। যেতে যেতে থেমে যায় জীবন। আমরা বলি মৃত্যু। তবু কিছু কিছু মৃত্যু জীবনেরও অধিক। যেন মৃত্যুর পরেই জন্মটা পরিপূর্ণ হয়! সমরেশ মজুমদার মারা গেলেন। আসলে মারা গেলেন না, বরং মৃত্যুর মধ্য দিয়ে পুনর্জন্ম লাভ হলো তাঁর। তিনি তো তাঁর অমরত্ব বহু আগেই খোদাই করেছেন কালবেলা, কালপুরুষ আর উত্তরাধ
আমাদের তারুণ্যকে তিনি একঘেয়ে স্বপ্ন থেকে বের করে এনেছিলেন। চুরমার করে দিয়েছিলেন তথাকথিত সুখসম্পন্ন জীবনের কল্পনা বিলাসকে। আমরা কেবলই অনিমেষ হয়ে যাচ্ছিলাম। কখনো মাধবীলতা। আমাদের স্বপ্নে ঢুকে পড়েছিল শ্রেণিহীন সমাজব্যবস্থার দীপ্র আহ্বান। রাজপথ সে তো ছিল রণাঙ্গন। নব্বইয়ের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষ
কালজয়ী লেখক দুই বাংলায় জনপ্রিয় সাহিত্যিক সমরেশ মজুমদার মারা গেছেন। আজ সোমবার সন্ধ্যা পৌনে ছয়টার দিকে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয় বলে আনন্দবাজার জানিয়েছে।
লেখকের অবস্থা সংকটপূর্ণ। তাঁকে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়েছে। তাঁর বুকের এক্স-রে, সিটি স্ক্যানসহ একাধিক রক্ত পরীক্ষা করা হচ্ছে। শ্বাসকষ্ট থাকায় করোনা সংক্রমণও হতে পারে বলে করানো হচ্ছে করোনা পরীক্ষা